নিজস্ব প্রতিনিধি,
ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর মৈনট জেলা আঞ্চলিক মহা সড়কের দুপাশের কাঁচা বাজারের কারনে পথচারী ও যানচলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কার্তিকপুর বাজারের চৌরাস্তা মোড় থেকে মৈনটঘাট যাওয়ার আঞ্চলিক মহা সড়কের দুপাশে কাঁচা বাজার ও মাছের বাজার বসেছে। রাস্তার দুপাশের বাজারের জন্য যান চলাচলে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা, সেই সাথে পথচারীদেরও পোহাতে হচ্ছে সমস্যা।
বাজার শেষে সবথেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাজারের দোকান ব্যাবসায়ীদের। সকালে বাজার শেষে যখন কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ীরা চলে যায় তখন ফেলে রাখা পঁচা সবজি ও মাছের দূর্গন্ধে অসহ্য যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় দোকান ব্যাবসায়ীদের।
তাছাড়া রাস্তার উপর বাজার বসার কারনে রাস্তায় ভীড় করে ক্রেতারা কেনাকাটা করে। এতে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা তৈরি হয়। ঢাকাগামী বাস, পন্যবাহী ট্রাক নিয়মিত চলাচল করে এই সড়কে।
কার্তিকপুর বাজারের কয়েকজন দোকান ব্যবসায়ী বলেন, মাছ ও সবজি বিক্রির জন্য বাজারের ভিতরে নির্ধারিত স্থান থাকা সত্বেও তারা আমাদের দোকানের সামনে সকালে বাজার বসায়। এতে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। দিনভর দূর্গন্ধ ছড়ায়, সে কারনে এখন দোকানে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। পথচারীদেরও এই দূর্গন্ধে সমস্যা হচ্ছে।
ব্যাবসায়ীরা আরো বলেন, সরকারি ভাবে ইজারা নেয়ার পরও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সেখানে বসে না, বাজার কতৃপক্ষও তাদের কিছু বলছে না কেনো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চাই দ্রুত এই সড়কের উপর থেকে কাঁচা বাজার সরিয়ে তাদের নির্ধারিত স্থানে নেয়ার জন্য কতৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, রাস্তার দুপাশে মানুষ চলাচলের জায়গায় এভাবে বাজার বসানো অবৈধ। তাদের কারনে আমাদের রাস্তার প্রায় মাঝ দিয়ে চলাচল করতে হয়, এতে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এতোদিন তো আমরা বাজারের ভিতর থেকেই কাঁচা বাজারের পন্য কেনা কাটা করেছি। হঠাৎ করে এখন তারা এভাবে রাস্তার উপর বাজার বসাতে শুরু করেছে, তাই আমাদেরও বাধ্য হয়ে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কার্তিকপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান। এ বিষয়ে পড়ে জানাবেন বলে জানান।
স্থানীয় পথচারী ও বাজারের দোকান ব্যাবসায়ীদের দাবী প্রশাসন অতি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।